বিগত প্রায় এক মাস আগে আমার নজরে আসে যে, শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রেগার কাজে পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের রেগা শ্রমিকের জব-কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। রেগার কাজের বিবরন নিচে দেওয়া হলঃ

 অন্যদিকে, মহাত্মা গান্ধী রেগা এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, 2021-2022 আর্থিক বছরে শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রেগার তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের যে কর্মসংস্থান প্রদান করা হয়েছে (নিচের তালিকা দেখুন), যা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং স্পষ্টভাবে শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অত্যন্ত খারাপ কর্মসংস্থান প্রদানের অবস্থা ফুটে উঠে। আপনারা সবাই জানেন যে শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৭৫% পরিবার সমাজের নিম্ন স্তরের এবং তাদের জীবিকা সম্পূর্ণরূপে দৈনিক শ্রমের উপর নির্ভর করে। এই পরিস্থিতিতে, শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাত্মা গান্ধী রেগার জব কার্ডে কর্মসংস্থান প্রদান না করে অন্য গ্রামের মহাত্মা গান্ধী রেগার জব কার্ডে কর্মসংস্থান প্রদান করা কতটুকু আইনগত বৈধ? তবে এর থেকে বড় অমানবিক আর কিছু হতে পারে বলে আমার জানা নেই!

বিগত একমাস থেকে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন, ২০০৫/ রেগা অপারেশনাল গাইডলাইনস/ সকল মাস্টার সার্কুলার/ যাবতীয় নীতি-নির্দেশিকা সহ ত্রিপুরা পঞ্চায়েত আইন ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে পড়াশুনা করে কোন সঠিক স্পষ্টিকরন আমার নজরে আসেনি। এমন কোন নীতি-নির্দেশিকা নেই যার মাধ্যমে নিজ গ্রামের মানুষের ১০০ দিনের কাজের আইনগত বৈধ অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য গ্রামের মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়া যায়?

সেইহেতু, আমি একজন অতিসাধারন নাগরিক হিসেবে প্রাথমিকভাবে শ্রীপুর পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব ও গ্রাম রোজগার সেবক এর নিকট স্পষ্টিকরন চেয়ে পৃথক দুটি চিঠি পাঠিয়েছি এবং উল্ল্যেখিত বিষয়ে লিখিতভাবে স্পষ্টিকরন চেয়েছি। আমার চিঠির উত্তর পাওয়ার পর আমি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।

শ্রীপুর পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব ও গ্রাম রোজগার সেবকদের পাঠানো চিঠি গুলিঃ 

 



CR007736CV01709

full-width