বিগত ০৫ই মে ২০২২ইং শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রেগা কেলেঙ্কারির তথ্য-প্রমান সহ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, যুবরাজনগর আরডি ব্লক এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কোন এক অদৃশ্য কারনে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, যুবরাজনগর আরডি ব্লক কতৃক কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় বিগত ০৪ জুলাই ২০২২ইং উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসকের নিকট সুষ্ট পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে লিখিত আবেদন করি।  

অবশেষে জেলা শাসক, উত্তর ত্রিপুরা এর নির্দেশে বিগত ০৮ই জুলাই ২০২২ইং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, যুবরাজনগর আরডি ব্লক, মহাশয় ৪ (চার) সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বিগত প্রায় ১৮ দিন থেকে উক্ত তদন্ত টিমের রিপোর্ট জমা করা হয় নি! এমনকি উক্ত দুর্নীতির ঘটনা ধামা-চাপা দিতে যুবরাজনগর আরডি ব্লকের উর্ধতন কতৃপক্ষ সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি সক্রিয় ভুমিকা গ্রহন করেছেন বলে জানা গেছে

নতুবা যাবতীয় তথ্য-প্রমান সহ অভিযোগ দায়ের করার পরও ১৮দিন থেকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না কেন? তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে!

দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে গাফিলতি ও দুর্নীতি গ্রস্তদের বাঁচাতে যে বিফল চেষ্টা বিগত প্রায় তিন মাস থেকে করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি ঘটন করে তদন্তের নামে যে নাটক বিগত ১৮দিন থেকে চলছে এর থেকেই প্রমান হয় যে, শষ্যের মধ্যেই ভূত লোকিয়ে আছে! সুষ্ট তদন্ত হলে যে সেই ভূত সবাইকে তাড়া করে বেড়াবে সেটা বুঝেই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার করে দুর্নীতির ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

যেহেতু যুবরাজনগর আরডি ব্লকের লাগামহীন দুর্নীতির সাথে, যুবরাজনগর আরডি ব্লক ও যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সেহেতু, আজ ২৬.০৭.২০২২ইং সমগ্র যুবরাজনগর আরডি ব্লকের দুর্নীতির বিষয়টি স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটির দ্বারা তদন্তের দাবি জানিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক, ভারত সরকারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আশাকরি আমার আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

আবেদন পত্রের কপিঃ

 
 
CR007828CV02107
 
full-width